রহমত নিউজ ডেস্ক 03 December, 2022 05:26 PM
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিগত কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২৩ সেশনের জন্য শরিফুল ইসলাম রিয়াদকে সভাপতি, নূরুল বশর আজিজীকে সহ-সভাপতি ও ইউসুফ আহমাদ মানসুরকে সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ।
আজ (৩ ডিসেম্বর) শনিবার সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম পূর্ব চত্বরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলন ২০২৩-এ তিনি এ ঘোষণা করেন। সংগঠনের সভাপতি নূরুল করীম আকরামের সভাপতিতে এবং সেক্রেটারী জেনারেল শেখ মুহাম্মদ আল-আমিনের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে স্বচ্ছ একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে ক্ষমতাসীনরা ব্যর্থ হয়েছে। কালোটাকার মালিক ও গডফাদারদের কাছে নির্বাচন কমিশন অসহায়। ইভিএমের নির্বাচন জনগণ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না। দেশের সর্বত্রই অরাজকতা বিরাজমান। দূর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। দূর্নীতিবাজরা আঙুল ফুলে বটগাছ বনে যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্বশীলদের সহায়তায় ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। দূর্নীতি দমন কমিশন এখন নখদন্তহীন কমিশনে পরিনত হয়েছে। দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই৷ সাধারণ মানুষ সত্য কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে দেশের মানুষ আজ আতঙ্কিত। গ্যাস বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন অস্বাভাবিক উর্ধগতিতে জনগণ আজ দিশেহারা। দেশের মানুষের এ কষ্ট লাঘবে কেউ সাড়া দেয় না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া করে দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ব্ব ব্যাংক লুটেপুটে খেয়ে কোষাগার শূণ্য করে রেখেছে। জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক’। শিক্ষা সিলেবাসের ম্যাধমে জাতিকে ধর্মহীন করার চক্রান্ত চলছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, শুধু নেতা ও দলের পরিবর্তনের ম্যাধমে শান্তি আসতে পারে না। নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে আদর্শের দাওয়াত আমরা দিয়েই যাবো। কে কি বললো, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলাম দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার বিকল্প নেই। রাজনীতিতে আদর্শিক লড়াইয়ে বিজয় হতে হবে। জাতীয় সরকারের অধীনের নির্বাচন দিয়ে দেশকে শঙ্কামুক্ত করতে হবে।